Skip to main content

Feature Post

Wapka Site Make Part 2 [Theme Modified]

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করছি সবাই ভালো আছেন।  তো আমরা গতকাল Header এর কাজ করেছে।  তো আজকে আমরা Footer এর কাজ করবো এবং তার সাথে আমরা wapka Login Page এবং SignUp Page এর কাজ করব।  Wapka কিছু ইনফরমেশনঃ স্বাভাবিক ভাবে আমরা যেই Wapka Browser করে থাকি সেটি Wapka Update Version. কিন্তু এখনো Mobile Version আছে নিচে দুটি কোড দেওয়া লিংক দিয়ে দিচ্ছি।  https://wapka.org/ https://m.wapka.org/ [বিঃদ্রঃ এটি আমি ব্যবহার করে কাজ করছি] Wapka Footer User Code প্রথমে Wapka সাইটে আপনার একাউন্ট লগিন করুন। এবার আপনার তৈরি করা সাইটে যান। এবার Pages এ ক্লীক করুন।  এবার Footer নামে Page এর Manager এ ক্লীক করুন। এবার Codes এ ক্লীক করুন।  এবং সবগুলো Codes মার্ক করে কেটে দিন। এরপর আবার Footer Page এ থেকে। এবার একদম নিচে দেখুন Tag Codes আছে ওটাতে ক্লীক করুন। এবার নিচের কোড টি দিয়ে দিন। <div id="footer"> <div class="footer-atas"> <b><a href="/" id="bottom" style="color:#d8043c">Home</a> » <a href="/logout">

দ্বন্দ্ব কী। দ্বন্দ্বের সংজ্ঞা। দ্বন্দ্বের কারণসমূহ।


দ্বন্দ্ব কী। দ্বন্দ্বের কারণসমূহ।

দ্বন্দ্ব হলো একটি মনস্তাত্ত্বিক বিষয়। অর্থাৎ এটি মানুষের মনের সাথে সম্পর্কিত। দ্বন্দ্ব মানুষের মনে তীব্য চাপ ও পীড়ন সৃষ্টি করে। মানুষের চাওয়া - পাওয়ার অপূর্ণতা থেকে এরূপ অবস্থার সৃষ্টির হয় । যেমন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীগণ ব্যবস্থাপনার নিকট যতটা প্রত্যাশা করে ঠিক ততটা তারা পায় না । আবার শ্রমিকদের নিকট থেকে ব্যবস্থাপনার প্রত্যাশা পূরণ হয় না । মূলত এরূপ অবস্থা থেকে শ্রম - ব্যবস্থাপনার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় । 

দ্বন্দ্বের সংজ্ঞা :

সাধারণত দ্বন্দ্ব বলতে একাধিক বস্তু বা বিষয়ের প্রতি ব্যক্তির পরস্পর বিরোধী প্রবণতাকে বুঝানো হয় । কিন্তু শিল্পাঙ্গনে শ্রম - ব্যবস্থাপনার মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে যে অসম্মতি বা মতদ্বৈততার সৃষ্টি হয় তাকে দ্বন্দ্ব বলে । নিম্নে দ্বন্দ্বের কতিপয় উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা প্রদান করা হলো : 

Weihrich & Koontz এর মতে

 দ্বন্দ্ব হলো সাংগঠনিক জীবনের একটি অংশ এবং এটি ব্যক্তির মধ্যে , ব্যক্তিবর্গের মধ্যে , ব্যক্তি এবং দলের মধ্যে এবং দলগুলোর মধ্যে সংঘটিত হতে পারে।

Mery Keith Davis এর মতে

দ্বন্দ্ব হচ্ছে এরূপ এক অবস্থা যাতে দুই বা ততোধিক পক্ষ তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে । দ্বন্দ্ব হচ্ছে একটি আন্তঃব্যক্তিক প্রক্রিয়া যা লক্ষ্য অর্জনের উপর অসম্মতি থেকে আসে অথবা ঐ লক্ষ্য সম্পাদনের ব্যবহৃত পদ্ধতি থেকে উদ্ভব হয় । 

দ্বন্দ্ব একটি জটিল বিষয় । দ্বন্দ্ব বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হতে পারে । কেউ কেউ মনে করেন , এক ব্যক্তির সাথে অন্য ব্যক্তির ধ্যান - ধারণা , মতামত ও অনুভূতি তথা যোগাযোগের পার্থক্যের কারণে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় । তাই একক কোন কারণে এটি সৃষ্টি হতে পারে না । সাধারণত আন্তঃব্যক্তিক এবং আন্তঃদলীয় সম্পর্ক থেকে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় । নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রধান প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলো : 

১. মূল্যবোধের পার্থক্য : 

ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে মূল্যবোধ , নীতি ও উদ্দেশ্য এবং আচরণের পার্থক্যের কারণে দ্বন্দ্বের উদ্ভব হতে পারে । নিজস্ব বিশ্বাস ও আদর্শের প্রতিফলনজনিত কারণে একে অন্যের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় । প্রতিষ্ঠানের প্রচার , মজুদের ধরন , বিকল্প পণ্য ইত্যাদি বিষয়ে মতানৈক্যর কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে দ্বন্দ্বের উদ্ভব ঘটায় । 

২. আস্থার অভাব : 

একে অন্যের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের অনুভূতি পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে । প্রত্যেকে প্রত্যেকের কথা ও কাজের মধ্যে মিল না রাখলে এরূপ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থার অভাবে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের উদ্ভব ঘটায়। 

৩. ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব : 

প্রতিটি ব্যক্তির চিন্তাচেতনা , অনুভূতি - ভাবনা এবং আচার - আচরণ ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। ব্যক্তির এরূপ বিভিন্নতার কারণে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় ।

৪. অনুভবের বৈপরীত্য : 

পূর্ব অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কারণে , কোন বিষয়ে ব্যক্তির অনুভূতি ভিন্নতর হতে পারে । কোন বিষয়ে একজন যা অনুভব করে অন্যজন সেভাবে তা নাও করতে পারে । কিন্তু ব্যক্তি যদি তার নিজস্ব অনুভব শক্তি অনুযায়ী অন্যকেও সমঅনুভব শক্তির অধিকারী দেখতে চায় তাহলেই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় । 

৫. সুষ্ঠু যোগাযোগের অভাব :

কার্যকর যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি , বিভাগ ও শাখার উদ্দেশ্য অর্জনের সমন্বয় বিধান করা হয়। তাই সুষ্ঠু যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটলে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে সংযোগ বিনষ্ট হয় । নানা বিষয়ে বিকৃতি ও গুজবের সৃষ্টি করে। ফলে কার্যক্ষেত্রে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জন্ম দেয় । 

৬. পারস্পরিক নির্ভরশীলতা :

সীমিত সম্পদের কারণে সংগঠনের বিভিন্ন বিভাগ , শাখা বা দল পরস্পর নির্ভরশীল থাকে । আন্তঃনির্ভরশীলতা এরূপ মাত্রা অধিক হলে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে । প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদের তুলনায় অন্যান্য সম্পদের সীমাবদ্ধতা একে অন্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের উদ্ভব ঘটায় । 

৭. লক্ষ্যের ভিন্নতা :

প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের লক্ষ্যের সাথে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সামঞ্জস্য না থাকলে কার্যক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে । যেমন- ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য হলো মুনাফা সর্বাধিক করা । এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি জন্য সচেষ্ট হয় । কিন্তু কর্মীগণ যদি তাদের উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালনের মনোযোগী না হয় সেক্ষেত্রে শ্রম ব্যবস্থাপনার মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে । একইভাবে প্রতিষ্ঠানের । উন্নতির সাথে সাথে কর্মীর উন্নতি না ঘটলেও দ্বন্দ্বের উদ্ভব হয় । 

৮. ব্যক্তি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য :

দ্বন্দ্বের একটি অন্যতম কারণ হলো এক ব্যক্তি দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য । এরূপ পার্থক্যের কারণে পরস্পরের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় বজায় রাখা সম্ভব হয় । না । যেমন- কার্যক্ষেত্রে এমন কতিপয় ব্যক্তি আছে , যারা সহযোগিতা , সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে চায় । আবার অনেক কর্মী আছে যারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত । ফলে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় । 

৯. সাংগঠনিক কাঠামোর ভিন্নতা :

সাংগঠনিক কাঠামো সুস্পষ্ট না হলে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে । অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য যদি সুনির্দিষ্ট না হয় তা হলে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপকতা ও পরিমাণ সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা থাকে না । এতে কোন কর্মী অত্যধিক কার্যভারে আক্রান্ত হতে হয় । পক্ষান্তরে , অন্যদের উপর কাজের চাপ কম থাকে । ফলে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় । 

১০. শিক্ষাগত যোগ্যতা :

প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সকল কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতা একই রকমের থাকে না । সাধারণত প্রতিষ্ঠানের নির্বাহিগণ উচ্চ ডিগ্রিধারী হয়ে থাকে । পক্ষান্তরে , সাধারণ শ্রমিকরা অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত হয়ে থাকে । এমতাবস্থায় তাদের মধ্যে চিন্তাভাবনা , ধ্যান-ধারণা , জ্ঞান ও দক্ষতার মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয় । ফলে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। 

বিভিন্ন কারণে একটি প্রতিষ্ঠানে বা সংঘটনের দ্বন্দ্বের উপস্থিতি ঘটে থাকে । দ্বন্দ্বের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ব্যবস্থাপনাকে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় ।

Comments

Popular posts from this blog

দ্বন্দ্ব নিরসন। দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায়সমূহ।

দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায়সমূহ  শিল্প,  প্রতিষ্ঠানে শ্রম, ব্যবস্থাপনার মধ্যে যেমন- দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে তেমনি এর প্রতিকারেরও ব্যবস্থা রয়েছে । সাধারণত দ্বন্দ্ব নিরসনের যেসব ব্যবস্থা বা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো : ১. এড়িয়ে যাওয়া :  দ্বন্দ্ব থেকে সংশিষ্টতা প্রত্যাহার করে নেয়াকে এড়িয়ে যাওয়া বা পরিহারকরণ বলে । এক্ষেত্রে বিরোধের সকল পক্ষই দ্বন্দ্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় । ছোটখাটো ও কম জটিলতাপূর্ণ দ্বন্দ্ব থেকে প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের মধ্যে উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে অভিযোগকারীরা নিজেদের গুটিয়ে নেয় বা ঘৃন্য এড়িয়ে চলে । Time is a great healer নীতির আওতায় মীমাংসাকারী যখন ঘন্বকে এড়িয়ে চলে বা মীমাংসার জন্য দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেয় তখন জমে আপনা - আপনিই দ্বন্দ্ব স্তিমিত হয়ে আসে এবং এর নিরসন হয় ।  ২. অভিন্ন লক্ষ্য : এ পদ্ধতি অনুযায়ী দ্বন্দ্বপূর্ণ যেসব বিষয় সম্পর্কে সংশিষ্ট সকল পক্ষ ঐকমত্য পোষণ করে সেসব বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয় । অর্থাৎ সংশিষ্ট সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য অভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ ও সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো

র্কায বিশ্লেষন। বিশ্লেষণের গুরুত্ব। কার্য বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা।

  Table of content র্কায বিশ্লেষন। র্কায বিশ্লেষন কি। র্কায বিশ্লেষন কাকে বলে। র্কায বিশ্লেষন বলতে কি বুঝায়। বিশ্লেষণের গুরুত্ব। কার্য বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা কার্য বিশ্লেষন/ কার্য বিশ্লেষন কি/  কার্য বিশ্লেষন কাকে বলে/  কার্য বিশ্লেষন বলতে কি বুঝায়। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে পদ বা কার্যের মৌলিক উপাদনসমূহ নির্ধারণের প্রক্রিয়াকে কার্য বিশ্লেষণ বলে । কার্য নির্দিষ্টকরণ হলো কার্য বিশ্লেষণের আরেকটি আরেকটি ফলাফল । কোন কাজ যথাযথভাবে সম্পাদন করতে হলে দরকার যথাযথ মানব সম্পদের । একটি কাজ সম্পাদন করার জন্য নিযুক্ত কর্মীর বা মানব সম্পদের কি ধরনের যোগ্যতা , অভিজ্ঞতা , শিক্ষা , দক্ষতা , প্রশিক্ষণ থাকা উচিত তার একটি বিস্তারিত তালিকাকেই কার্য নির্দিষ্টকরণ বলে । একটি সংগঠনে সঠিক মানব সম্পদ নিয়োগের জন্য কার্য নির্দিষ্টকরণ বিশেষ প্রয়োজন । কার্য নির্দিষ্ট করা হলে কর্মী নিয়োগ সহজতর হয় এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক এই কার্য নির্দিষ্টকরণ অনুসারে উপযুক্ত কর্মী সচেষ্ট হন । নিচে কার্য নির্দিষ্টকরণের কয়েকটি সংজ্ঞা ও ধারণা তুলে ধরা হলো : Table of Content  Centro এর মত Edwin B. Flippo এর মত Decen

Wapka Site Make Part 2 [Theme Modified]

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করছি সবাই ভালো আছেন।  তো আমরা গতকাল Header এর কাজ করেছে।  তো আজকে আমরা Footer এর কাজ করবো এবং তার সাথে আমরা wapka Login Page এবং SignUp Page এর কাজ করব।  Wapka কিছু ইনফরমেশনঃ স্বাভাবিক ভাবে আমরা যেই Wapka Browser করে থাকি সেটি Wapka Update Version. কিন্তু এখনো Mobile Version আছে নিচে দুটি কোড দেওয়া লিংক দিয়ে দিচ্ছি।  https://wapka.org/ https://m.wapka.org/ [বিঃদ্রঃ এটি আমি ব্যবহার করে কাজ করছি] Wapka Footer User Code প্রথমে Wapka সাইটে আপনার একাউন্ট লগিন করুন। এবার আপনার তৈরি করা সাইটে যান। এবার Pages এ ক্লীক করুন।  এবার Footer নামে Page এর Manager এ ক্লীক করুন। এবার Codes এ ক্লীক করুন।  এবং সবগুলো Codes মার্ক করে কেটে দিন। এরপর আবার Footer Page এ থেকে। এবার একদম নিচে দেখুন Tag Codes আছে ওটাতে ক্লীক করুন। এবার নিচের কোড টি দিয়ে দিন। <div id="footer"> <div class="footer-atas"> <b><a href="/" id="bottom" style="color:#d8043c">Home</a> » <a href="/logout">